১০:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

ধুনটে যমুনা নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীতে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর জুনায়েদ আহম্মেদ (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে বেসরকারি ডুবুরি দলের সদস্যরা।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের যমুনা নদীর বানিয়াজান স্পার (বাঁধ) এলাকা থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জুনায়েদ আহম্মেদ শেরপুর টাউন কলোনীর জাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর টাউন কলোনী এলাকার মাফিজ ইকবাল (১৮), সোয়েব আহম্মেদ (১৮) ও অওফি হাসান (১৮) এবং জুনায়েদ আহম্মেদ শুক্রবার বিকেল ৪টায় যমুনা নদীর বানিয়াজান স্পার এলাকায় বেড়াতে আসেন। এরপর যমুনা নদীতে নেমে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে অসাবধানতাবশত যমুনা নদীতে পড়ে ডুবে যান ৪ বন্ধু। এ সময় সেখানকার অন্য ভ্রমণকারীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় নৌকার সাহায্যে ৩ বন্ধুকে জীবিত উদ্ধার করেন। তবে সে সময় জুনায়েদ আহম্মেদকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এ অবস্থায় শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাজশাহী থেকে আগত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও বেসরকারি ডুবুরি দলের সদস্যরা নিখোঁজ জুনায়েদ আহম্মেদকে উদ্ধারের অভিযান চালান। এক পর্যায়ে দুপুর ১২টায় বেসরকারি ডুবুরি দলের সদস্যরা জাল দিয়ে জুনায়েদের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

ধুনট ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার হামিদুল ইসলাম বলেন, “যৌথ উদ্ধার অভিযানের এক পর্যায়ে বেসরকারি ডুবুরি দলের সদস্যদের জালে উদ্ধার হয়েছে জুনায়েদ আহম্মেদের মৃতদেহ।”

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, “আইনি প্রক্রিয়া শেষে জুনায়েদ আহম্মেদের মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয়

ধুনটে যমুনা নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

০৭:০৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীতে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর জুনায়েদ আহম্মেদ (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে বেসরকারি ডুবুরি দলের সদস্যরা।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের যমুনা নদীর বানিয়াজান স্পার (বাঁধ) এলাকা থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জুনায়েদ আহম্মেদ শেরপুর টাউন কলোনীর জাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর টাউন কলোনী এলাকার মাফিজ ইকবাল (১৮), সোয়েব আহম্মেদ (১৮) ও অওফি হাসান (১৮) এবং জুনায়েদ আহম্মেদ শুক্রবার বিকেল ৪টায় যমুনা নদীর বানিয়াজান স্পার এলাকায় বেড়াতে আসেন। এরপর যমুনা নদীতে নেমে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে অসাবধানতাবশত যমুনা নদীতে পড়ে ডুবে যান ৪ বন্ধু। এ সময় সেখানকার অন্য ভ্রমণকারীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় নৌকার সাহায্যে ৩ বন্ধুকে জীবিত উদ্ধার করেন। তবে সে সময় জুনায়েদ আহম্মেদকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এ অবস্থায় শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাজশাহী থেকে আগত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও বেসরকারি ডুবুরি দলের সদস্যরা নিখোঁজ জুনায়েদ আহম্মেদকে উদ্ধারের অভিযান চালান। এক পর্যায়ে দুপুর ১২টায় বেসরকারি ডুবুরি দলের সদস্যরা জাল দিয়ে জুনায়েদের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

ধুনট ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার হামিদুল ইসলাম বলেন, “যৌথ উদ্ধার অভিযানের এক পর্যায়ে বেসরকারি ডুবুরি দলের সদস্যদের জালে উদ্ধার হয়েছে জুনায়েদ আহম্মেদের মৃতদেহ।”

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, “আইনি প্রক্রিয়া শেষে জুনায়েদ আহম্মেদের মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।