০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

ভ্যাট-ট্যাক্সের চাপে সংকটে বিস্কুট শিল্প: ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

ভ্যাট ও ট্যাক্সের বোঝায় ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে বিস্কুটের প্যাকেট। এ নিয়ে সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “আর কত ছোট করব প্যাকেট? এভাবে চলতে থাকলে একসময় শুধু খালি প্যাকেটই দিতে হবে।”

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) কার্যালয়ে ‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি দাবি করেন, নিম্নআয়ের মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য বিস্কুটে ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানো হলে উৎপাদন ও বিক্রয় বাধাগ্রস্ত হবে, যা সাধারণ মানুষের জন্য দুঃসংবাদ।

ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব ও ব্যবসায়ীদের দাবি

নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রীর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কম দামে বিস্কুট উৎপাদন সম্ভব নয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “যে প্রতিষ্ঠান আগে ১০ কোটি টাকা ভ্যাট দিত, এখন তাকে ৩০ কোটি টাকা দিতে হবে। এতে অনেক শিল্প টিকতে পারবে না।”

বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীদের দাবি, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যে ভ্যাট কমিয়ে জনগণের ওপর চাপ কমানো উচিত। তারা আশা করেছিলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবে, কিন্তু সে আশাও ফিকে হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান ভূঁইয়া।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা, যারা একমত হন যে ভ্যাট কাঠামো পুনর্গঠন এবং কর জালের পরিধি বাড়ানো দরকার, যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে অযথা করের বোঝা না পড়ে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয়

ভ্যাট-ট্যাক্সের চাপে সংকটে বিস্কুট শিল্প: ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

১২:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভ্যাট ও ট্যাক্সের বোঝায় ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে বিস্কুটের প্যাকেট। এ নিয়ে সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “আর কত ছোট করব প্যাকেট? এভাবে চলতে থাকলে একসময় শুধু খালি প্যাকেটই দিতে হবে।”

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) কার্যালয়ে ‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি দাবি করেন, নিম্নআয়ের মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য বিস্কুটে ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানো হলে উৎপাদন ও বিক্রয় বাধাগ্রস্ত হবে, যা সাধারণ মানুষের জন্য দুঃসংবাদ।

ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব ও ব্যবসায়ীদের দাবি

নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রীর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কম দামে বিস্কুট উৎপাদন সম্ভব নয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “যে প্রতিষ্ঠান আগে ১০ কোটি টাকা ভ্যাট দিত, এখন তাকে ৩০ কোটি টাকা দিতে হবে। এতে অনেক শিল্প টিকতে পারবে না।”

বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীদের দাবি, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যে ভ্যাট কমিয়ে জনগণের ওপর চাপ কমানো উচিত। তারা আশা করেছিলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবে, কিন্তু সে আশাও ফিকে হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান ভূঁইয়া।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা, যারা একমত হন যে ভ্যাট কাঠামো পুনর্গঠন এবং কর জালের পরিধি বাড়ানো দরকার, যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে অযথা করের বোঝা না পড়ে।