০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

পিলখানা হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচারণ ‘লাল শাড়ি পরে পিলখানায় ঢুকেছিলাম, বের হয়েছি বিধবা হয়ে’

“আমি সেনা পরিবারের নই। সেনাবাহিনীতে আমার আসা সিভিল পরিবার থেকে। এসেছিলাম লাল শাড়ি পরে। আর পিলখানা থেকে বের হয়েছিলাম সাদা শাড়িতে, বিধবা হয়ে। সেদিন আমি আমার সেনাবাহিনীকে পাইনি। অন্তর থেকে, মন থেকে যে সেনাবাহিনীকে ভালোবেসেছিলাম, শুধু সাংবাদিক ভাইদের দেখেছি। তারাই আমাদের নিয়ে পিলখানা থেকে বের করেছিলেন।”

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালী রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির নির্মম হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কথাগুলো বলেন শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফের স্ত্রী বেগম শাহীনুর পারভীন।

তিনি বলেন, “সেদিন সকালে গুলির শব্দ শোনার পর সাইফকে (স্বামী) ফোন করে জানতে চাইলাম, কী হচ্ছে? বলল, ‘এখানে গণ্ডগোল হচ্ছে।’ বললাম, ‘সেক্টর কমান্ডারের বাসায় আগুন জ্বলছে।’ কিছুক্ষণ পর আমার বাসায় সৈনিকরা আসে, দরজায় ধাক্কা দেয়।

সকাল ১০টায় ফোন করে সাইফ সতর্ক করে বলেছিল, ‘তোমরা ভালো থেকো, সাবধানে থেকো।’ এরপর ছোট ছেলেকে চেয়ে কথা বলে বলল, ‘বাবা, তুমি ভালো থেকো। তুমি তোমার মাকে দেখে রেখো। বাইরে যেন না যায়।’ এরপর বলল, ‘র‍্যাবকে বলছি, ক্যান্টনমেন্টে ফোন করছি, ওরা গাড়ি পাঠাবে। তোমরা চলে যেও।’ কিন্তু গাড়ি আর আসেনি। সারাদিন সৈনিকরা দরজায় ধাক্কা দেয়, দরজা ভাঙার চেষ্টা করে।”

শহীদ লে. কর্নেল সাইফের স্ত্রী বলেন, “দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ১০ জন লোক পাঁচটি অস্ত্র তাক করে মাথায়। আমি ভয় পেয়ে ওয়ারড্রোব ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ি। আমার ছোট ছেলে তাদের পা জড়িয়ে ধরে বলে, ‘আঙ্কেল, আমার মাকে কিছু বলবেন না, আমার আব্বুকে যা বলার বলেন।’ আমি দোয়া করি, ‘আল্লাহ, আমার ছেলেকে রক্ষা করো।’

বাসার গেট খুলে দেওয়ার পর সেনাবাহিনীকে আমি দেখিনি। যে সেনাবাহিনীকে মন থেকে ভালোবেসেছিলাম, সেই সেনাবাহিনীকে পাইনি। শুধু সাংবাদিক ভাইদের দেখেছি। তারাই আমাদের নিয়ে বের করেছিলেন। সাংবাদিকরা বলছিলেন, ‘আমরা মরব, কিন্তু আপনাদের না নিয়ে যাব না।’ অথচ সেনাবাহিনীকে পাইনি।”

আক্ষেপ করে শহীদ সাইফের স্ত্রী বলেন, “আমি সেনাবাহিনীতে এসেছিলাম সিভিল পরিবার থেকে, লাল শাড়ি পরে। আর সাদা শাড়ি পরে বের হয়েছিলাম। আমাদের নিউ মার্কেটের ভেতরে নেওয়া হয়। সেখানে র‍্যাবের একজন অফিসার আমাকে ডাবের পানি খাওয়ার কথা বললেন। আমি বললাম, ‘অফিসাররা মরছেন, আর আমি ডাবের পানি খাব?’

আমার ভাইদের লাশ, সন্তানদের, বাবাদের লাশের মাথায় হাত বুলিয়েছে আমার বড় ছেলে। বাবার লাশ খুঁজে বের করতে হয়েছে ওকেই। এক অফিসার ফোন করে জানালেন, সাইফ স্যারকে পাওয়া গেছে। সাইফকে নামানোর পর দেখলাম—পেটে চারটি গুলির চিহ্ন। যে সাইফকে আমি সকালে নাশতা করিয়েছি, তাকে চিনতে পারিনি। তার মুখটা দেখেছি, কিন্তু হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখতে পারিনি।”

তিনি বলেন, “আজ আমি কোনো দাবি-দাওয়া নিয়ে আসিনি, শুধু বুকের পাথরটা সরিয়ে এসেছি। আজ ৫৭ জন বিধবা নারীকে নিয়ে এসেছি। আমাদের জন্য শুধু দোয়া করবেন। এখনো গোলাগুলি হলেই আঁতকে উঠি। সত্যকে সমর্থন করুন, যাতে ভবিষ্যতে এমন কিছু আর না ঘটে।”

সত্য গোপন করার চেষ্টা চলছে

পিলখানার সেই নির্মম ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজ বলেন, “সেদিন যারা পিলখানায় ছিলেন এবং বিচারিক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন, তারাই জানেন সত্যটা কী। অথচ যারা সেদিন ভেতরে ছিলেন না, তারা এখন ভিন্নভাবে বর্ণনা করছেন।

সেদিন আমরা ছোট ছোট দুটি বাচ্চা আর স্ত্রীকে নিয়ে ৩৬ ঘণ্টা আটকে ছিলাম। হেন কোনো অপরাধ নেই, যা সেদিন সৈনিকরা করেনি। অস্ত্রাগার লুট থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড, লাশ বিকৃতি—সবই ঘটেছে। দরবার হলে যখন সৈনিক মঈন পেছন থেকে ডিজিকে অস্ত্র তাক করেন, তখন ডিজি বলেছিলেন, ‘সবাই অস্ত্র ফেলে দাও।’ কিন্তু সেই সৈনিকরা কী করেছিল? অফিসারদের পরিবারসহ নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।

সেদিন কেউ বলেছিল, ‘ডাল-ভাত’ ইস্যু। কিন্তু পরে তদন্ত করে কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। মূল অপরাধ ছিল দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের নির্মূল করা। অনুরোধ করছি, সত্যকে তুলে ধরুন। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না।”

বিচারের দাবি

শহীদ মেজর আব্দুস সালামের বড় ছেলে সাকিব মাহমুদ খান বলেন, “৩৬ ঘণ্টা জিম্মি থাকার পর যখন বের হলাম, শুনলাম কিছু অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গেছে। পরে যখন বাবার লাশ দেখি, চিনতে পারিনি। এরপর বিস্তারিত দেখে নিশ্চিত হই, সেটাই আমার বাবার লাশ। বাবার স্মৃতি বলতে আমার কাছে এখন ওই ছবিটাই আছে।”

বিডিআরের কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল আলম হান্নান বলেন, “আমি একমাত্র বিডিআর পরিবারের সন্তান, যে আজ এখানে উপস্থিত। আর এটাই প্রমাণ করে, সেদিন সেনাবাহিনী ও বিডিআরের মধ্যে কোনো বিরোধ ছিল না। বিরোধ ছিল হত্যাকারী, চক্রান্তকারী ও নৃশংস অপরাধীদের সঙ্গে।

পিলখানায় ৯,৫০০ বিডিআর সদস্যের উপস্থিতিতে ৫৭ সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়। একমাত্র আমার বাবা ছাড়া কেউ এর প্রতিবাদ করেননি। তাই বাবাকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে গণকবরে পাঠানো হয়।”

শহীদ কর্নেল কুদরত ইলাহীর সন্তান অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান বলেন, “শহীদ পরিবার ও বেঁচে ফেরা সেনা অফিসাররা আজ বিচার চাইতে আসেননি, শুধু স্মৃতিচারণ করতে এসেছেন। কিন্তু এখন এমনভাবে ঘটনাকে বিকৃত করা হচ্ছে, যেনো আসল সত্য মুছে ফেলা হয়।

আমরা শুধু বলতে চাই, ‘চাইলেই সবাইকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।’ যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচার চাই।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ লে. কর্নেল লুৎফর রহমান খানের মেয়ে ডা. ফাবলিহা বুশরা, শহীদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী নাহরীন ফেরদৌস, শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসুল আজমের স্ত্রী মুনমুন আক্তারসহ অন্যান্য শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয়

পিলখানা হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচারণ ‘লাল শাড়ি পরে পিলখানায় ঢুকেছিলাম, বের হয়েছি বিধবা হয়ে’

১১:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

“আমি সেনা পরিবারের নই। সেনাবাহিনীতে আমার আসা সিভিল পরিবার থেকে। এসেছিলাম লাল শাড়ি পরে। আর পিলখানা থেকে বের হয়েছিলাম সাদা শাড়িতে, বিধবা হয়ে। সেদিন আমি আমার সেনাবাহিনীকে পাইনি। অন্তর থেকে, মন থেকে যে সেনাবাহিনীকে ভালোবেসেছিলাম, শুধু সাংবাদিক ভাইদের দেখেছি। তারাই আমাদের নিয়ে পিলখানা থেকে বের করেছিলেন।”

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালী রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির নির্মম হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কথাগুলো বলেন শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফের স্ত্রী বেগম শাহীনুর পারভীন।

তিনি বলেন, “সেদিন সকালে গুলির শব্দ শোনার পর সাইফকে (স্বামী) ফোন করে জানতে চাইলাম, কী হচ্ছে? বলল, ‘এখানে গণ্ডগোল হচ্ছে।’ বললাম, ‘সেক্টর কমান্ডারের বাসায় আগুন জ্বলছে।’ কিছুক্ষণ পর আমার বাসায় সৈনিকরা আসে, দরজায় ধাক্কা দেয়।

সকাল ১০টায় ফোন করে সাইফ সতর্ক করে বলেছিল, ‘তোমরা ভালো থেকো, সাবধানে থেকো।’ এরপর ছোট ছেলেকে চেয়ে কথা বলে বলল, ‘বাবা, তুমি ভালো থেকো। তুমি তোমার মাকে দেখে রেখো। বাইরে যেন না যায়।’ এরপর বলল, ‘র‍্যাবকে বলছি, ক্যান্টনমেন্টে ফোন করছি, ওরা গাড়ি পাঠাবে। তোমরা চলে যেও।’ কিন্তু গাড়ি আর আসেনি। সারাদিন সৈনিকরা দরজায় ধাক্কা দেয়, দরজা ভাঙার চেষ্টা করে।”

শহীদ লে. কর্নেল সাইফের স্ত্রী বলেন, “দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ১০ জন লোক পাঁচটি অস্ত্র তাক করে মাথায়। আমি ভয় পেয়ে ওয়ারড্রোব ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ি। আমার ছোট ছেলে তাদের পা জড়িয়ে ধরে বলে, ‘আঙ্কেল, আমার মাকে কিছু বলবেন না, আমার আব্বুকে যা বলার বলেন।’ আমি দোয়া করি, ‘আল্লাহ, আমার ছেলেকে রক্ষা করো।’

বাসার গেট খুলে দেওয়ার পর সেনাবাহিনীকে আমি দেখিনি। যে সেনাবাহিনীকে মন থেকে ভালোবেসেছিলাম, সেই সেনাবাহিনীকে পাইনি। শুধু সাংবাদিক ভাইদের দেখেছি। তারাই আমাদের নিয়ে বের করেছিলেন। সাংবাদিকরা বলছিলেন, ‘আমরা মরব, কিন্তু আপনাদের না নিয়ে যাব না।’ অথচ সেনাবাহিনীকে পাইনি।”

আক্ষেপ করে শহীদ সাইফের স্ত্রী বলেন, “আমি সেনাবাহিনীতে এসেছিলাম সিভিল পরিবার থেকে, লাল শাড়ি পরে। আর সাদা শাড়ি পরে বের হয়েছিলাম। আমাদের নিউ মার্কেটের ভেতরে নেওয়া হয়। সেখানে র‍্যাবের একজন অফিসার আমাকে ডাবের পানি খাওয়ার কথা বললেন। আমি বললাম, ‘অফিসাররা মরছেন, আর আমি ডাবের পানি খাব?’

আমার ভাইদের লাশ, সন্তানদের, বাবাদের লাশের মাথায় হাত বুলিয়েছে আমার বড় ছেলে। বাবার লাশ খুঁজে বের করতে হয়েছে ওকেই। এক অফিসার ফোন করে জানালেন, সাইফ স্যারকে পাওয়া গেছে। সাইফকে নামানোর পর দেখলাম—পেটে চারটি গুলির চিহ্ন। যে সাইফকে আমি সকালে নাশতা করিয়েছি, তাকে চিনতে পারিনি। তার মুখটা দেখেছি, কিন্তু হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখতে পারিনি।”

তিনি বলেন, “আজ আমি কোনো দাবি-দাওয়া নিয়ে আসিনি, শুধু বুকের পাথরটা সরিয়ে এসেছি। আজ ৫৭ জন বিধবা নারীকে নিয়ে এসেছি। আমাদের জন্য শুধু দোয়া করবেন। এখনো গোলাগুলি হলেই আঁতকে উঠি। সত্যকে সমর্থন করুন, যাতে ভবিষ্যতে এমন কিছু আর না ঘটে।”

সত্য গোপন করার চেষ্টা চলছে

পিলখানার সেই নির্মম ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজ বলেন, “সেদিন যারা পিলখানায় ছিলেন এবং বিচারিক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন, তারাই জানেন সত্যটা কী। অথচ যারা সেদিন ভেতরে ছিলেন না, তারা এখন ভিন্নভাবে বর্ণনা করছেন।

সেদিন আমরা ছোট ছোট দুটি বাচ্চা আর স্ত্রীকে নিয়ে ৩৬ ঘণ্টা আটকে ছিলাম। হেন কোনো অপরাধ নেই, যা সেদিন সৈনিকরা করেনি। অস্ত্রাগার লুট থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড, লাশ বিকৃতি—সবই ঘটেছে। দরবার হলে যখন সৈনিক মঈন পেছন থেকে ডিজিকে অস্ত্র তাক করেন, তখন ডিজি বলেছিলেন, ‘সবাই অস্ত্র ফেলে দাও।’ কিন্তু সেই সৈনিকরা কী করেছিল? অফিসারদের পরিবারসহ নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।

সেদিন কেউ বলেছিল, ‘ডাল-ভাত’ ইস্যু। কিন্তু পরে তদন্ত করে কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। মূল অপরাধ ছিল দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের নির্মূল করা। অনুরোধ করছি, সত্যকে তুলে ধরুন। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না।”

বিচারের দাবি

শহীদ মেজর আব্দুস সালামের বড় ছেলে সাকিব মাহমুদ খান বলেন, “৩৬ ঘণ্টা জিম্মি থাকার পর যখন বের হলাম, শুনলাম কিছু অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গেছে। পরে যখন বাবার লাশ দেখি, চিনতে পারিনি। এরপর বিস্তারিত দেখে নিশ্চিত হই, সেটাই আমার বাবার লাশ। বাবার স্মৃতি বলতে আমার কাছে এখন ওই ছবিটাই আছে।”

বিডিআরের কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল আলম হান্নান বলেন, “আমি একমাত্র বিডিআর পরিবারের সন্তান, যে আজ এখানে উপস্থিত। আর এটাই প্রমাণ করে, সেদিন সেনাবাহিনী ও বিডিআরের মধ্যে কোনো বিরোধ ছিল না। বিরোধ ছিল হত্যাকারী, চক্রান্তকারী ও নৃশংস অপরাধীদের সঙ্গে।

পিলখানায় ৯,৫০০ বিডিআর সদস্যের উপস্থিতিতে ৫৭ সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়। একমাত্র আমার বাবা ছাড়া কেউ এর প্রতিবাদ করেননি। তাই বাবাকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে গণকবরে পাঠানো হয়।”

শহীদ কর্নেল কুদরত ইলাহীর সন্তান অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান বলেন, “শহীদ পরিবার ও বেঁচে ফেরা সেনা অফিসাররা আজ বিচার চাইতে আসেননি, শুধু স্মৃতিচারণ করতে এসেছেন। কিন্তু এখন এমনভাবে ঘটনাকে বিকৃত করা হচ্ছে, যেনো আসল সত্য মুছে ফেলা হয়।

আমরা শুধু বলতে চাই, ‘চাইলেই সবাইকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।’ যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচার চাই।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ লে. কর্নেল লুৎফর রহমান খানের মেয়ে ডা. ফাবলিহা বুশরা, শহীদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী নাহরীন ফেরদৌস, শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসুল আজমের স্ত্রী মুনমুন আক্তারসহ অন্যান্য শহীদ পরিবারের সদস্যরা।