০৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

দেশে ফিরে উচ্ছ্বাসিত হামজা, ভারতের বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশা

বাংলাদেশ বিমানের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটের ফ্লাইট পৌঁছানোর কথা ছিল বেলা ১১:৪০-এ। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই হামজা চৌধুরীকে এক নজর দেখতে বিমানবন্দরে হাজির হন ফুটবলপ্রেমীরা। সকাল ১০:৪৫-এর দিকে সিলেটে পা রাখেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই তারকা, আর তখন থেকেই বদলে যায় পুরো বিমানবন্দরের পরিবেশ।

হামজার জন্য বাফুফে বিশেষ ভিআইপি ব্যবস্থা রেখেছিল। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার শাকিল আহমেদ। দায়িত্বরত কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও ভক্তরা তার সঙ্গে ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। প্রায় এক ঘণ্টা আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি গণমাধ্যমের সামনে আসেন।

দীর্ঘ ১১ বছর পর দেশে ফিরে আবেগপ্রবণ হামজা বলেন, “এমেজিং, এমেজিং! এখানে আসতে পেরে দারুণ লাগছে।” ভারতের বিপক্ষে ২৫ মার্চের এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচকে ডার্বি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলেন, “ইনশাআল্লাহ, আমরা ডার্বি জিততে চাই এবং সামনে এগিয়ে যেতে চাই।”

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেও ইংল্যান্ডে বেড়ে ওঠা হামজা সিলেটি ভাষাতেও কথা বলেন। বাংলায় প্রশ্ন শুনে তিনি সাবলীল সুরে বলেন, “ইনশাআল্লাহ, আমরা উইন করমু। আমরার বিগ ড্রিম আছে, আমি কোচ হ্যাভিয়েরের সঙ্গে মাতসি (কথা বলেছি)। ইনশাআল্লাহ, আমরা উইন করে প্রোগ্রেস করতে পারমু।”বাফুফের প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার গোলাম গাউস জানান, হামজা ও তার পরিবার হবিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। বিদায়ের আগে উন্মাদনা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে হামজা বলেন, “আমার হৃদয় পূর্ণ।”

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয়

দেশে ফিরে উচ্ছ্বাসিত হামজা, ভারতের বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশা

০৩:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ বিমানের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটের ফ্লাইট পৌঁছানোর কথা ছিল বেলা ১১:৪০-এ। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই হামজা চৌধুরীকে এক নজর দেখতে বিমানবন্দরে হাজির হন ফুটবলপ্রেমীরা। সকাল ১০:৪৫-এর দিকে সিলেটে পা রাখেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই তারকা, আর তখন থেকেই বদলে যায় পুরো বিমানবন্দরের পরিবেশ।

হামজার জন্য বাফুফে বিশেষ ভিআইপি ব্যবস্থা রেখেছিল। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার শাকিল আহমেদ। দায়িত্বরত কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও ভক্তরা তার সঙ্গে ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। প্রায় এক ঘণ্টা আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি গণমাধ্যমের সামনে আসেন।

দীর্ঘ ১১ বছর পর দেশে ফিরে আবেগপ্রবণ হামজা বলেন, “এমেজিং, এমেজিং! এখানে আসতে পেরে দারুণ লাগছে।” ভারতের বিপক্ষে ২৫ মার্চের এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচকে ডার্বি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলেন, “ইনশাআল্লাহ, আমরা ডার্বি জিততে চাই এবং সামনে এগিয়ে যেতে চাই।”

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেও ইংল্যান্ডে বেড়ে ওঠা হামজা সিলেটি ভাষাতেও কথা বলেন। বাংলায় প্রশ্ন শুনে তিনি সাবলীল সুরে বলেন, “ইনশাআল্লাহ, আমরা উইন করমু। আমরার বিগ ড্রিম আছে, আমি কোচ হ্যাভিয়েরের সঙ্গে মাতসি (কথা বলেছি)। ইনশাআল্লাহ, আমরা উইন করে প্রোগ্রেস করতে পারমু।”বাফুফের প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার গোলাম গাউস জানান, হামজা ও তার পরিবার হবিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। বিদায়ের আগে উন্মাদনা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে হামজা বলেন, “আমার হৃদয় পূর্ণ।”