বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল মাহমুদ ও তার সমর্থকরা নিজ দলের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশের প্রস্তুতিকালে এ হামলা চালানো হয়।
রোববার সকাল ১০টায় ধুনট উপজেলার হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শহীদ মুগ্ধ চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতা আপেল মাহমুদ দাবি করেন, এই হামলায় তিনি ও তার ছেলে সহ কমপক্ষে ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলা শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা আপেল মাহমুদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দুই দিন আগে, ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে, হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কিন্তু ওই কর্মসূচির বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির কোনো নেতাকর্মীকে জানানো হয়নি। এ কারণে দলের একাংশের নেতাকর্মীরা আপেল মাহমুদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা রোববার সকাল থেকে হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন।
এদিকে রোববার সকাল পৌনে ১০টায় বিএনপি নেতা আপেল মাহমুদ তার সমর্থকদের নিয়ে হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমবেত হতে থাকেন। এ সময় “আপেলের চামড়া তুলে নেব আমরা” স্লোগান দিয়ে আপেল ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। প্রতিপক্ষের হামলার শিকার বিএনপি নেতা আপেল মাহমুদ তার সমর্থকদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আপেল মাহমুদ বলেন, “আমি বগুড়া-৫ আসনের এমপি প্রার্থী হওয়ার মত প্রকাশ করার পর থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমার বিরোধিতা শুরু করেন। আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো কর্মসূচি নিতে দলের অনুমতি প্রয়োজন হয় না। তারপরও বিষয়টি জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে অবগত করা হয়েছে। আমি দলের কাজ করতে গিয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছি। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল মুনছুর আহমেদ পাশা বলেন, “নিজ দলের নেতাকর্মীদের না জানিয়ে আপেল মাহমুদ দলের নাম ভাঙিয়ে মনগড়াভাবে বহিরাগত লোকজন ভাড়া করে এনে বিক্ষোভ সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিলেন। এ কারণে তাকে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি।”
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, “সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”