০১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

ধুনটের ঐতিহ্যবাহী বকচর মেলা: প্রাণের মিলনমেলা

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শুরু হলো ঐতিহ্যবাহী দুই দিনের বকচর মেলা। শতবর্ষেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা এই মেলা স্থানীয়দের প্রাণের উৎসব হিসেবে পরিচিত। উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের হেউটনগর গ্রামে বকচর নামক স্থানে প্রতি বছর মাঘ মাসের শেষ বুধবার থেকে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

মেলার প্রথম দিন পরিচিত “মাছের মেলা” নামে, যেখানে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাছ ব্যবসায়ীরা বড় বড় মাছ নিয়ে আসেন। এটি মেলার প্রধান আকর্ষণ। দ্বিতীয় দিনকে বলা হয় “বৌ মেলা”, যেখানে নানা ধরনের প্রসাধনী ও কৃষিপণ্যের কেনাবেচা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় বকচর মেলা।

স্থানীয়দের মতে, এটি শুধু কেনাবেচার স্থান নয়, বরং আনন্দ আর মিলনমেলা। পুরো বছর তারা এই মেলার অপেক্ষায় থাকে। মেলায় আসা অনেকে জানান, মাছের মেলার দিন প্রচুর মানুষের ভিড় থাকায় নারীদের আসা কিছুটা কঠিন হয়ে যায়। তবে পরদিনের মেলায় তারা স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করেন এবং উৎসবের আমেজ উপভোগ করেন।

প্রবীণদের মতে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসা এই মেলা স্থানীয় ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। সবাই আশাবাদী, এই প্রাণের মেলবন্ধন আগামী দিনেও একই উৎসাহ-উদ্দীপনায় চলতে থাকবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয়

ধুনটের ঐতিহ্যবাহী বকচর মেলা: প্রাণের মিলনমেলা

০৫:৩৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শুরু হলো ঐতিহ্যবাহী দুই দিনের বকচর মেলা। শতবর্ষেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা এই মেলা স্থানীয়দের প্রাণের উৎসব হিসেবে পরিচিত। উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের হেউটনগর গ্রামে বকচর নামক স্থানে প্রতি বছর মাঘ মাসের শেষ বুধবার থেকে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

মেলার প্রথম দিন পরিচিত “মাছের মেলা” নামে, যেখানে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাছ ব্যবসায়ীরা বড় বড় মাছ নিয়ে আসেন। এটি মেলার প্রধান আকর্ষণ। দ্বিতীয় দিনকে বলা হয় “বৌ মেলা”, যেখানে নানা ধরনের প্রসাধনী ও কৃষিপণ্যের কেনাবেচা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় বকচর মেলা।

স্থানীয়দের মতে, এটি শুধু কেনাবেচার স্থান নয়, বরং আনন্দ আর মিলনমেলা। পুরো বছর তারা এই মেলার অপেক্ষায় থাকে। মেলায় আসা অনেকে জানান, মাছের মেলার দিন প্রচুর মানুষের ভিড় থাকায় নারীদের আসা কিছুটা কঠিন হয়ে যায়। তবে পরদিনের মেলায় তারা স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করেন এবং উৎসবের আমেজ উপভোগ করেন।

প্রবীণদের মতে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসা এই মেলা স্থানীয় ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। সবাই আশাবাদী, এই প্রাণের মেলবন্ধন আগামী দিনেও একই উৎসাহ-উদ্দীপনায় চলতে থাকবে।